ইমেজ মেটাডেটা ভিউয়ার

ইমেজ মেটাডেটা EXIF ​​ভিউয়ার

ফাইলগুলি 30 মিনিটের পরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে ফেলা হয়

কি ইমেজ মেটাডেটা ভিউয়ার ?

ইমেজ মেটাডেটা ভিউয়ার হল একটি বিনামূল্যের অনলাইন টুল যা ইমেজে সংরক্ষিত সমস্ত EXIF ​​মেটাডেটা প্রদর্শন করে। এক্সচেঞ্জেবল ইমেজ ফাইলের জন্য EXIF ​​সংক্ষিপ্ত, চিত্র, মালিক এবং ক্যামেরা সম্পর্কে মেটাডেটা তথ্য সংরক্ষণের জন্য একটি আদর্শ বিন্যাস। EXIF মেটাডেটা দিয়ে, আপনি কখন এবং কোথায় ছবিটি তোলা হয়েছিল তা খুঁজে পেতে পারেন৷ আপনি যদি EXIF, EXIF ​​অনলাইন ভিউয়ার, বা ইমেজ মেটাডেটা ভিউয়ার দেখতে চান, তাহলে এটি আপনার টুল। এই বিনামূল্যের অনলাইন EXIF ​​ভিউয়ারের মাধ্যমে, আপনি দ্রুত এবং সহজেই সমস্ত EXIF ​​মেটাডেটা মার্জিত উপায়ে প্রদর্শন করতে পারেন।

কেন ইমেজ মেটাডেটা ভিউয়ার ?

ছবি তোলার পর আমরা সাধারণত ছবিটা কেমন দেখতে, সেটাই দেখি। কিন্তু একটা ছবির ভেতরে আরও অনেক তথ্য লুকানো থাকে, যা আমাদের অনেকেরই অজানা। এই লুকানো তথ্যগুলোকেই বলা হয় ইমেজ মেটাডেটা। আর এই মেটাডেটা দেখার জন্য যে টুল ব্যবহার করা হয়, তাকে ইমেজ মেটাডেটা ভিউয়ার বলা হয়। এই ভিউয়ার ব্যবহার করার গুরুত্ব অনেক। নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক আলোচনা করা হলো:

প্রথমত, ছবির উৎস সম্পর্কে জানা যায়। একটি ছবির মেটাডেটাতে ক্যামেরা মডেল, লেন্সের তথ্য, সেটিংস (যেমন অ্যাপারচার, শাটার স্পিড, আইএসও) ইত্যাদি উল্লেখ থাকে। এই তথ্যগুলো দেখলে বোঝা যায় ছবিটি কোন ক্যামেরা বা ফোন দিয়ে তোলা হয়েছে এবং ছবি তোলার সময় সেটিংসগুলো কী ছিল। ফটোগ্রাফির ছাত্র বা প্রফেশনাল ফটোগ্রাফারদের জন্য এই তথ্যগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তারা অন্য ফটোগ্রাফারের কাজ দেখে বুঝতে পারেন, কী সেটিংস ব্যবহার করে ছবিটি তোলা হয়েছে এবং সেই অনুযায়ী নিজের কাজের মান উন্নত করতে পারেন।

দ্বিতীয়ত, ছবির সত্যতা যাচাই করা যায়। বর্তমানে অনলাইনে অনেক ছবি বিকৃত করে ছড়ানো হয়। কোনো সংবেদনশীল ঘটনার ছবি দেখলে, মেটাডেটা ভিউয়ার ব্যবহার করে ছবির তারিখ, সময় এবং লোকেশন জানা যায়। যদি দেখা যায় ছবির তারিখ বা লোকেশন ঘটনার সঙ্গে মেলে না, তাহলে ছবিটি সন্দেহজনক মনে হতে পারে। সাংবাদিকতা এবং অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভুল তথ্য ছড়ানো থেকে বাঁচতে এবং সঠিক খবর পরিবেশন করতে মেটাডেটা যাচাই করা অপরিহার্য।

তৃতীয়ত, কপিরাইট সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যায়। অনেক ফটোগ্রাফার তাদের ছবির মেটাডেটাতে কপিরাইট সংক্রান্ত তথ্য যোগ করে দেন। এর ফলে ছবিটি কে তুলেছে, এর মালিক কে, এবং ছবিটি ব্যবহারের শর্তাবলী কী, তা জানা যায়। যদি কেউ অনুমতি ছাড়া ছবিটি ব্যবহার করে, তাহলে কপিরাইট ধারক আইনি পদক্ষেপ নিতে পারেন। ক্রিয়েটিভ কাজ যারা করেন, তাদের জন্য নিজেদের কাজকে সুরক্ষিত রাখতে এই তথ্য যোগ করা খুবই জরুরি।

চতুর্থত, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা করা যায়। অনেক স্মার্টফোন এবং ক্যামেরায় লোকেশন ট্র্যাকিং চালু থাকে। এর ফলে ছবি তোলার সময় লোকেশনের তথ্য মেটাডেটাতে যোগ হয়ে যায়। এই তথ্য যদি অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে কারো হাতে চলে যায়, তাহলে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হতে পারে। ইমেজ মেটাডেটা ভিউয়ার ব্যবহার করে লোকেশন ডেটা সরিয়ে ফেলা যায়, যা ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।

পঞ্চমত, ছবির ফাইল ম্যানেজমেন্ট সহজ হয়। মেটাডেটাতে ছবির বিষয়বস্তু, ট্যাগ, রেটিং ইত্যাদি যোগ করা যায়। এর ফলে অনেকগুলো ছবির মধ্যে থেকে নির্দিষ্ট ছবি খুঁজে বের করা সহজ হয়। যারা প্রচুর ছবি নিয়ে কাজ করেন, তাদের জন্য এই ফিচারটি খুবই উপযোগী।

ষষ্ঠত, ছবির মান উন্নয়নে সাহায্য করে। মেটাডেটা থেকে সেটিংসের তথ্য দেখে বোঝা যায়, কোন সেটিংসের কারণে ছবিটি ভালো হয়েছে বা খারাপ হয়েছে। এই অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে ছবি তোলার সময় কাজে লাগে এবং ভালো ছবি তুলতে সাহায্য করে।

সবশেষে বলা যায়, ইমেজ মেটাডেটা ভিউয়ার একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় টুল। ছবি তোলার উৎস জানা, সত্যতা যাচাই করা, কপিরাইট রক্ষা করা, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা করা এবং ফাইল ম্যানেজমেন্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে এটি ব্যবহার করা যায়। তাই ছবি নিয়ে যারা কাজ করেন, তাদের সকলেরই এই টুলটির ব্যবহার সম্পর্কে জানা উচিত।

This site uses cookies to ensure best user experience. By using the site, you consent to our Cookie, Privacy, Terms